Woman what she is
প্রশ্নঃ- বিবাহের পূর্ব্বে
মাল্য-বিনিময়
হয়,ইহার তাৎপর্য্য কী?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- বৃত্তি-বিনিময়।
*
প্রশ্নঃ- তার মানে?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- আমার বৃত্তি তোমাতে
সার্থক হোক্ִ ,তোমার হৃদয় আমার হৃদয় হোক্ִ -
কনে এই মন্ত্রে বরের গলায় মাল্য দেয়*।
*
প্রশ্নঃ- আর,বর?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- তোমাতে আমার বৃত্তির
বিশ্রাম হোক্ִ ,দুইজনের বৃত্তি মিলিয়া এক-
এ বা আদর্শে সার্থক হোক্ִ।
*
প্রশ্নঃ- মন্ত্র উচ্চারণের সার্থকতা কী?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- স্মরন করিয়া ভাবের
উদ্বোধন, আর ভাবে অনুপ্রাণিত হইয়া
চরিত্রকে রঞ্জন।
*
প্রশ্নঃ- বিবাহে গুরু বা আদর্শের স্থান
কোথায়?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ-গুরু বা আদর্শ এই মিলনের
সিমেন্ট,-আদর্শকে সার্থক করিবার জন্যই
বিবাহ।
*
প্রশ্নঃ- 'স্বামী' কথার অর্থ কী?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- স্ত্রীর স্ব ( Self-আত্মা,
Existence) আছে যাহাতে, অর্থাৎ স্ত্রীর
অস্তিত্ব যাহার উপর ন্যস্ত, স্ত্রী যাহাতে
বাঁচিয়া আছে-সে তাহার স্বামী।
*
প্রশ্নঃ- ভর্ত্তা কে?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- যে পালন করে,অর্থাৎ যার
দ্বারা পালিত হওয়া যায়, সেই ভর্ত্তা।
*
প্রশ্নঃ- পতি বলতে কি বুঝায়?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- যাকে অবলম্বন করে বেঁচে
থাকা যায়, যাকে আশ্রয় করলে
প্রতিপালিত হওয়া যায়, সর্ব্ববিষয়ে পুষ্ট
বা developed হওয়া যায়, তিনি পতি। অর্থাৎ
সর্ব্বপ্রকারে পূরণ করারcapacity (সামর্থ্য)
আছে এমনতর পুরুষই পতি হ'তে পারে।
পতিত্বে পিতৃত্ব আছে-তাই পতি ও পিতা
একই ধাতু থেকে উৎপন্ন।
*
প্রশ্নঃ- কিন্তু তা'হলেও পিতা ও পতি দুই-এর
তফাৎ তো আছেই।
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- পিতা দ্বারা sexually
nourished (যৌন-সম্বন্ধে পুষ্ট) হওয়া যায় না,
কিন্তু পতিতে তা' হবার নাই; কেবল ঐ
স্থলেই পিতা হ'তে পতির ভেদ। তা'হলে
এমনতর পিতৃ-প্রকৃতির পুরুষ যা'তে sexually
nourised হবারও বাধা নাই, তিনিই পতি
হ'তে পারেন।
*
প্রশ্নঃ-'স্ত্রী' কথার মানে কি?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- যে বেষ্টন করিয়া দীপ্তি
পায়,সে স্ত্রী। স্ত্রী আসিয়াছে 'স্তৈ'-ধাতু
(বেষ্টন,দীপ্তি) হইতে।
*
প্রশ্নঃ-'পত্নী' কি?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- পালন ও রক্ষণ-ধর্ম্মী
স্ত্রী-অর্থাৎ পালন এবং রক্ষণেই যার
সার্থকতা, সে পত্নী। 'পা'-ধাতুর মানে
পালন ও রক্ষা করা।
*
প্রশ্নঃ- স্ত্রীকে 'জায়া' বলা হয় কেন?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- যাহাতে নিজেকে
জন্মগ্রহণ করানো যায় অর্থাৎ যাহার
ভিতরে প্রবিষ্ট হইয়া বিভিন্নরূপে
আবির্ভূত হই, সে জায়া।
*
প্রশ্নঃ- 'বধূ' কাহাকে বলে?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- যে বহন করে চলে-ministers
to the need of the husband. বধূ এসেছে বহ্ִ -
ধাতু (বহন করা) হইতে।
*
প্রশ্নঃ- স্ত্রীকে ভার্য্যাও বলে,ভার্য্যা
কথার মানে কী?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- যে আমাকে ধারণ করিয়া
আছে, অর্থাৎ আমার অস্তিত্ব যাহার
দ্বারা সংরক্ষিত হইতেছে, যে আমার
শরীরকে অন্নজলাদি প্রয়োজনীয়
বস্তুদ্বারা ভরণ (maintain) করে,-তাহার
ফলে,যাহার দ্বারা হয় আমার পোষণ
(nourishment); তাই, স্ত্রী মনোবৃত্তির
অনুসারিনী, অর্থাৎ যাহার দ্বারা আমার
বৃত্তি বা আমি nourished (পুষ্ট)হই, যে আমার
সার্থকতায় তাহার নিজেকে দান
করিয়াছে,যাহাকে আমি সব দিক্ִ দিয়া
পাইয়াছি এবং যে আমাকে সর্ব্বপ্রকারে
সর্ব্বপ্রকারে গ্রহণ করিয়াছে-সে আমার
ভার্য্যা।
*
প্রশ্নঃ- স্ত্রীকে অর্ধাঙ্গিনী,সহধর্ম্মিনী
ইত্যাদি বলা হয়-এগুলি কেবল আদরের ডাক
মাত্র-না,এর কোনও বিশেষ তাৎপর্য্য আছে?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- সহধর্ম্মিনী কেন বলা
হয়,তা পূর্ব্বেই বলা আছে; অন্যের ধর্ম্ম
রক্ষা করাতেই যার ধর্ম্মরক্ষা হয়,সে-ই
সহধর্ম্মী বা সহধর্ম্মিনী। অর্ধাঙ্গিনীও
বলা হয় এই কারণে। যেমন, স্ত্রী পুরুষকে
যেমন করিয়া সর্ব্বতোভাবে maintain (ভরণ)
করিতে পারে, পুরুষ নিজেকে তেমন পারে
না-তেমনি স্ত্রীও নিজেকে পারে না-
ইহাই প্রকৃতি।
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
নারীর পথে
(তাং-১৭ ই এপ্রিল ১৯৩৪)
হয়,ইহার তাৎপর্য্য কী?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- বৃত্তি-বিনিময়।
*
প্রশ্নঃ- তার মানে?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- আমার বৃত্তি তোমাতে
সার্থক হোক্ִ ,তোমার হৃদয় আমার হৃদয় হোক্ִ -
কনে এই মন্ত্রে বরের গলায় মাল্য দেয়*।
*
প্রশ্নঃ- আর,বর?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- তোমাতে আমার বৃত্তির
বিশ্রাম হোক্ִ ,দুইজনের বৃত্তি মিলিয়া এক-
এ বা আদর্শে সার্থক হোক্ִ।
*
প্রশ্নঃ- মন্ত্র উচ্চারণের সার্থকতা কী?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- স্মরন করিয়া ভাবের
উদ্বোধন, আর ভাবে অনুপ্রাণিত হইয়া
চরিত্রকে রঞ্জন।
*
প্রশ্নঃ- বিবাহে গুরু বা আদর্শের স্থান
কোথায়?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ-গুরু বা আদর্শ এই মিলনের
সিমেন্ট,-আদর্শকে সার্থক করিবার জন্যই
বিবাহ।
*
প্রশ্নঃ- 'স্বামী' কথার অর্থ কী?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- স্ত্রীর স্ব ( Self-আত্মা,
Existence) আছে যাহাতে, অর্থাৎ স্ত্রীর
অস্তিত্ব যাহার উপর ন্যস্ত, স্ত্রী যাহাতে
বাঁচিয়া আছে-সে তাহার স্বামী।
*
প্রশ্নঃ- ভর্ত্তা কে?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- যে পালন করে,অর্থাৎ যার
দ্বারা পালিত হওয়া যায়, সেই ভর্ত্তা।
*
প্রশ্নঃ- পতি বলতে কি বুঝায়?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- যাকে অবলম্বন করে বেঁচে
থাকা যায়, যাকে আশ্রয় করলে
প্রতিপালিত হওয়া যায়, সর্ব্ববিষয়ে পুষ্ট
বা developed হওয়া যায়, তিনি পতি। অর্থাৎ
সর্ব্বপ্রকারে পূরণ করারcapacity (সামর্থ্য)
আছে এমনতর পুরুষই পতি হ'তে পারে।
পতিত্বে পিতৃত্ব আছে-তাই পতি ও পিতা
একই ধাতু থেকে উৎপন্ন।
*
প্রশ্নঃ- কিন্তু তা'হলেও পিতা ও পতি দুই-এর
তফাৎ তো আছেই।
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- পিতা দ্বারা sexually
nourished (যৌন-সম্বন্ধে পুষ্ট) হওয়া যায় না,
কিন্তু পতিতে তা' হবার নাই; কেবল ঐ
স্থলেই পিতা হ'তে পতির ভেদ। তা'হলে
এমনতর পিতৃ-প্রকৃতির পুরুষ যা'তে sexually
nourised হবারও বাধা নাই, তিনিই পতি
হ'তে পারেন।
*
প্রশ্নঃ-'স্ত্রী' কথার মানে কি?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- যে বেষ্টন করিয়া দীপ্তি
পায়,সে স্ত্রী। স্ত্রী আসিয়াছে 'স্তৈ'-ধাতু
(বেষ্টন,দীপ্তি) হইতে।
*
প্রশ্নঃ-'পত্নী' কি?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- পালন ও রক্ষণ-ধর্ম্মী
স্ত্রী-অর্থাৎ পালন এবং রক্ষণেই যার
সার্থকতা, সে পত্নী। 'পা'-ধাতুর মানে
পালন ও রক্ষা করা।
*
প্রশ্নঃ- স্ত্রীকে 'জায়া' বলা হয় কেন?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- যাহাতে নিজেকে
জন্মগ্রহণ করানো যায় অর্থাৎ যাহার
ভিতরে প্রবিষ্ট হইয়া বিভিন্নরূপে
আবির্ভূত হই, সে জায়া।
*
প্রশ্নঃ- 'বধূ' কাহাকে বলে?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- যে বহন করে চলে-ministers
to the need of the husband. বধূ এসেছে বহ্ִ -
ধাতু (বহন করা) হইতে।
*
প্রশ্নঃ- স্ত্রীকে ভার্য্যাও বলে,ভার্য্যা
কথার মানে কী?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- যে আমাকে ধারণ করিয়া
আছে, অর্থাৎ আমার অস্তিত্ব যাহার
দ্বারা সংরক্ষিত হইতেছে, যে আমার
শরীরকে অন্নজলাদি প্রয়োজনীয়
বস্তুদ্বারা ভরণ (maintain) করে,-তাহার
ফলে,যাহার দ্বারা হয় আমার পোষণ
(nourishment); তাই, স্ত্রী মনোবৃত্তির
অনুসারিনী, অর্থাৎ যাহার দ্বারা আমার
বৃত্তি বা আমি nourished (পুষ্ট)হই, যে আমার
সার্থকতায় তাহার নিজেকে দান
করিয়াছে,যাহাকে আমি সব দিক্ִ দিয়া
পাইয়াছি এবং যে আমাকে সর্ব্বপ্রকারে
সর্ব্বপ্রকারে গ্রহণ করিয়াছে-সে আমার
ভার্য্যা।
*
প্রশ্নঃ- স্ত্রীকে অর্ধাঙ্গিনী,সহধর্ম্মিনী
ইত্যাদি বলা হয়-এগুলি কেবল আদরের ডাক
মাত্র-না,এর কোনও বিশেষ তাৎপর্য্য আছে?
*
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- সহধর্ম্মিনী কেন বলা
হয়,তা পূর্ব্বেই বলা আছে; অন্যের ধর্ম্ম
রক্ষা করাতেই যার ধর্ম্মরক্ষা হয়,সে-ই
সহধর্ম্মী বা সহধর্ম্মিনী। অর্ধাঙ্গিনীও
বলা হয় এই কারণে। যেমন, স্ত্রী পুরুষকে
যেমন করিয়া সর্ব্বতোভাবে maintain (ভরণ)
করিতে পারে, পুরুষ নিজেকে তেমন পারে
না-তেমনি স্ত্রীও নিজেকে পারে না-
ইহাই প্রকৃতি।
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
নারীর পথে
(তাং-১৭ ই এপ্রিল ১৯৩৪)
No comments:
Post a Comment