Sri Sri Thakur, Sarbamangala Devi, and Kajolda ----- a short excerpt
(Source facebook status)
Post ta pore onek kichu janlam tai apnader jonno pathalam.
শ্রীশ্রীঠাকর অনকুলচন্দ্রের কনিষ্ঠ সন্তান পূজ্যপাদ কাজলদা, ডা: প্রচেতারঞ্জন চক্রবর্তী।
শ্রীশ্রীছোটমা সর্ব্বমঙ্গলা দেবী পরমারাধ্যা শ্রীশ্রীবড়মার অর্থাৎ তাঁর বড়দিদির হাত ধরে হিমায়েৎপুর আশ্রমে যখন আসলেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ৬ বৎসর। সেখানেই পড়াশোনা করতে লাগলেন বালিকা সর্ব্ব-মঙ্গলা। পরবর্তীকালে সাফল্যের সাথে বি,এস,সি পাশ করেন ।
বাল্য-কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের আঙিনায়
পা রাখলেন সর্ব্বমঙ্গলা। বাড়ি থেকে বিবাহের তোড়জোর চলতে লাগল। কিন্তু সর্ব্বমঙ্গলাকে বিয়ের কথা জানাতেই তিনি বললেন বিয়ে তিনি করবেন তবে জামাই-বাবুকেই। অন্য কেউই হতে পারবেন না তাঁর স্বামী। শ্রেষ্ঠ পুরুষ হিসাবে একমাত্র জামাইবাবুকেই মনে করেন। সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে সর্ব্বমঙ্গলার মুখ পানে। কোন লজ্জা নেই , সংকোচ নেই। জননী ফেটে পড়লেন রাগে-দুঃখে-অনু-শোচনায় ও মর্ম্মদাহে। নানা কায়দায় নিবৃত্ত করার চেষ্টা হল। দিদি (শ্রীশ্রীবড়মা) ডেকে পাঠালেন , বোঝালেন বোনকে কিন্তু সর্ব্বমঙ্গলা তাঁর সংকল্প থেকে একটুও সরে দাঁড়ালেন না।
জামাইবাবু আস্তে আস্তে বললেন- তুমি বড় হয়েছো, কি করে আমার দিন - রাত্রি কাটে - তাও জানো। পারিবারিক জীবন বলে আমার কিছু নেই, তাছাড়া আমার বয়স হয়েছে। তুমি ছেলে মানুষ , আমার জীবনের সাথে তোমার জীবন জড়িয়ে ফেলা কি উচিত হবে ? কিন্তু সর্ব্বমঙ্গলার অটল, অনড় মনোভাবে জামাইবাবু তাঁকে পাঠালেন মাতা মনোমোহিনী দেবীর কাছে।
সন্তান র�ক্ষায় এরপর বাংলা ১৩৩৪ সালের অঘ্রানের এক গোধুলি সন্ধ্যায় মাতা মনো-মোহিনী দেবী কোমর বেঁধে দাঁড়ালেন। সমস্ত বিরুদ্ধ শক্তি উপে�ক্ষা করে রুখে দাঁড়ালেন, ব্যবস্থা করলেন সব। পুরোহিত ডাকলেন। শাস্ত্রসম্মতভাবে সমর্পণ কর-লেন তাঁকে অনুকুলচন্দ্রের হাতে।
শ্রীশ্রীছোটমা সর্ব্বমঙ্গলা দেবী পরমারাধ্যা শ্রীশ্রীবড়মার অর্থাৎ তাঁর বড়দিদির হাত ধরে হিমায়েৎপুর আশ্রমে যখন আসলেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ৬ বৎসর। সেখানেই পড়াশোনা করতে লাগলেন বালিকা সর্ব্ব-মঙ্গলা। পরবর্তীকালে সাফল্যের সাথে বি,এস,সি পাশ করেন ।
বাল্য-কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের আঙিনায়
পা রাখলেন সর্ব্বমঙ্গলা। বাড়ি থেকে বিবাহের তোড়জোর চলতে লাগল। কিন্তু সর্ব্বমঙ্গলাকে বিয়ের কথা জানাতেই তিনি বললেন বিয়ে তিনি করবেন তবে জামাই-বাবুকেই। অন্য কেউই হতে পারবেন না তাঁর স্বামী। শ্রেষ্ঠ পুরুষ হিসাবে একমাত্র জামাইবাবুকেই মনে করেন। সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে সর্ব্বমঙ্গলার মুখ পানে। কোন লজ্জা নেই , সংকোচ নেই। জননী ফেটে পড়লেন রাগে-দুঃখে-অনু-শোচনায় ও মর্ম্মদাহে। নানা কায়দায় নিবৃত্ত করার চেষ্টা হল। দিদি (শ্রীশ্রীবড়মা) ডেকে পাঠালেন , বোঝালেন বোনকে কিন্তু সর্ব্বমঙ্গলা তাঁর সংকল্প থেকে একটুও সরে দাঁড়ালেন না।
জামাইবাবু আস্তে আস্তে বললেন- তুমি বড় হয়েছো, কি করে আমার দিন - রাত্রি কাটে - তাও জানো। পারিবারিক জীবন বলে আমার কিছু নেই, তাছাড়া আমার বয়স হয়েছে। তুমি ছেলে মানুষ , আমার জীবনের সাথে তোমার জীবন জড়িয়ে ফেলা কি উচিত হবে ? কিন্তু সর্ব্বমঙ্গলার অটল, অনড় মনোভাবে জামাইবাবু তাঁকে পাঠালেন মাতা মনোমোহিনী দেবীর কাছে।
সন্তান র�ক্ষায় এরপর বাংলা ১৩৩৪ সালের অঘ্রানের এক গোধুলি সন্ধ্যায় মাতা মনো-মোহিনী দেবী কোমর বেঁধে দাঁড়ালেন। সমস্ত বিরুদ্ধ শক্তি উপে�ক্ষা করে রুখে দাঁড়ালেন, ব্যবস্থা করলেন সব। পুরোহিত ডাকলেন। শাস্ত্রসম্মতভাবে সমর্পণ কর-লেন তাঁকে অনুকুলচন্দ্রের হাতে।
সর্ব্বমঙ্গলার
প্রথম পুত্র সন্তান জন্মের পরই মারা যায়। সেই শোক-সন্তপ্ত দিনগুলো কাটানোর পর একদিন শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর আদরের মুংলীকে(সর্ব্বমঙ্গলা) ডেকে বললেন - ভাবছিস কেন ? তোকে আমি এমন জিনিস দেবো- একা চাঁদে জগৎ আলো। এর কিছুদিন পর সকলেই জেনে ফেলে সুসমাচার। সকলেই খুশি নতুনের আগমন প্রত্যাশায়।
মহাপুজার আর ছয়টি দিন বাকী। পুজামন্ডপ থেকে ঢাকের বাজনা শোনা যাচ্ছে।মাঝে মাঝে শ্রীশ্রীছোটমা স্থির হয়ে বসতে পারছেন না, ঘরময় পায়াচারী করছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বসে আছেন পদ্মা পাড়ের চৌকিতে। কালীদাসী মাকে পাঠালেন - দেখে আয় কি হয়েছে । ব্যাকুল দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন তার আগমন পথের দিকে।
শ্রীশ্রীবড়মা নিজের কাপড় ঠিক করতে করতে আঁতুড় ঘড়ের দরজাটি খুলে দিলেন। হর্ষোৎফুল্ল গাম্ভীর্যে মেয়েদের দিকে চেয়ে বললেন- কেউ তোমরা উলু দিও না। এবার শাঁখ বাজিও না কেউ। ও এবার বিনা অভ্যর্থনাতেই মায়ের চোখের কাজল হয়ে বিরাজ করুক। সে দিনটি ছিল ইং ২৯শে অক্টোবর ১৯৩৯, সময় রাত এগারোটা আট মিনিট, কৃষ্ণা ত্রয়োদশী।
দেশভাগের এক বছর পূর্বে শ্রীশ্রীঠাকুর দেওঘরে চলে আসেন। তখন কাজলদার বয়স সাত বছর। শ্রীশ্রীঠাকুরের নয়নের মণি হয়ে আশ্রমে থাকতেন। যেহেতু বিশ্ব-দুনিয়ার মালিক তাঁকে খুব ভালবাসতেন তাই সকলের কাছেও তিনি প্রিয় ছিলেন ।
একদিন শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে সৎমন্ত্র গ্রহণ করলেন তিনি।
একদিন শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে সৎমন্ত্র গ্রহণ করলেন তিনি।
পুজ্যপাদ কাজলদা সাথীদের সাথে ফুটবল খেলতে যেতেন, শ্রীশ্রীঠাকুরের নির্দেশে কালীদাসী মা সাথে যেতেন জলের বোতল নিয়ে। এইভাবে এগিয়ে এল সেই শুভমুহুর্ত্ত
- "চাঁদাই বুড়ুর পৈতা হল"। সে এক এলাহি কান্ড। সাতদিন ধরে উৎসবের মতন খাওয়া-দাওয়া মানুষের ঢল চলেছে যেন।
বিশ্বের বিশ্বেশ্বর তাঁর চাঁদাই বুড়ুর পৈতা উপল�ক্ষে একটি বাণী দিলেন -
"চাঁদাই বুড়ুর
পৈতা হলো,
সপ্ত ভুবন
উদ্ধারিল।"
এই রকম বহু ভবিষৎ বাণী তাঁর পিতা তাঁর সম্মদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দিয়েছেন।
- "চাঁদাই বুড়ুর পৈতা হল"। সে এক এলাহি কান্ড। সাতদিন ধরে উৎসবের মতন খাওয়া-দাওয়া মানুষের ঢল চলেছে যেন।
বিশ্বের বিশ্বেশ্বর তাঁর চাঁদাই বুড়ুর পৈতা উপল�ক্ষে একটি বাণী দিলেন -
"চাঁদাই বুড়ুর
পৈতা হলো,
সপ্ত ভুবন
উদ্ধারিল।"
এই রকম বহু ভবিষৎ বাণী তাঁর পিতা তাঁর সম্মদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দিয়েছেন।
শি�ক্ষাজগতের অনেক কিছু আহরণ করেও তাঁর জীবনের ইহকাল-পরকাল, ভাল-মন্দ
তাঁর পিতার চরণে আহুতি দিয়েছেন। পিতার গুন তাঁর ভিতর উদ্ভাসিত।
শ্রীশ্রীঠাকুরের নির্দেশে সুশীলদা কলকাতায় বাদুরবাগানে একটি বাসা ভাড়া করিয়ে ছিলেন কাজলদার উচ্চশি�ক্ষার জন্য।
প্রতিদিন শ্রীশ্রীঠাকুর ট্রাঙ্ককলের মাধ্যমে কাজলদার খোজ নিতেন।
সিটি কলেজের পড়া শেষ করে কাজলদা ভর্ত্তি হলেন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে।
সেখান থেকে M.B.B.S পাশ করলেন ১৯৬৩ সালে। তারপর M.S (এম,এস) পড়ার জন্য পাটনা মেডিকেল কলেজে ভর্ত্তি হলেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের আদেশে কাজলদা বিয়ে করলেন ,ঠাকুরেরই পছন্দে কলিকাতার বালিগঞ্জ নিবাসী শ্রীযুক্ত যোগেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কন্যা ল�ক্ষীমণির সাথে ইং ১৯৬৬ সালে। পুজ্যপাদ কাজলদা ও ল�ক্ষীমণি দেবীর কন্যা সন্তান মিতু-মা জন্ম নেন ১৯৬৭সালে। M.S করার সময় যে বিষয় বস্তুর উপর চর্চা করেছিলেন তার নাম Inter-sex problems with sex-chromotix body Harmo-Froditism.
ডক্টরেট হয়েছিলেন ১৯৭৩ সালে পাটনা মেডিকেল কলেজ থেকে, বিষয় বস্তু ছিল Studies of Rejection Phenomenon on Homo-Transplantation.
তাঁর পিতার চরণে আহুতি দিয়েছেন। পিতার গুন তাঁর ভিতর উদ্ভাসিত।
শ্রীশ্রীঠাকুরের নির্দেশে সুশীলদা কলকাতায় বাদুরবাগানে একটি বাসা ভাড়া করিয়ে ছিলেন কাজলদার উচ্চশি�ক্ষার জন্য।
প্রতিদিন শ্রীশ্রীঠাকুর ট্রাঙ্ককলের মাধ্যমে কাজলদার খোজ নিতেন।
সিটি কলেজের পড়া শেষ করে কাজলদা ভর্ত্তি হলেন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে।
সেখান থেকে M.B.B.S পাশ করলেন ১৯৬৩ সালে। তারপর M.S (এম,এস) পড়ার জন্য পাটনা মেডিকেল কলেজে ভর্ত্তি হলেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের আদেশে কাজলদা বিয়ে করলেন ,ঠাকুরেরই পছন্দে কলিকাতার বালিগঞ্জ নিবাসী শ্রীযুক্ত যোগেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কন্যা ল�ক্ষীমণির সাথে ইং ১৯৬৬ সালে। পুজ্যপাদ কাজলদা ও ল�ক্ষীমণি দেবীর কন্যা সন্তান মিতু-মা জন্ম নেন ১৯৬৭সালে। M.S করার সময় যে বিষয় বস্তুর উপর চর্চা করেছিলেন তার নাম Inter-sex problems with sex-chromotix body Harmo-Froditism.
ডক্টরেট হয়েছিলেন ১৯৭৩ সালে পাটনা মেডিকেল কলেজ থেকে, বিষয় বস্তু ছিল Studies of Rejection Phenomenon on Homo-Transplantation.
যখন কাজলদা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে পড়তেন, কলেজের অধ্য�ক্ষ ডেকে বলেছিলেন -'প্রচেত, তোমার ক'জন মা?
কাজলদা উত্তর দিলেন -স্যার আমার অসংখ্য মা। অধ্য�ক্ষ বিদ্রুপের হাসি হেসে বললেন - তাহলে সবাই যা বলে তা ঠিক।
কাজলদা বললেন - হ্যাঁ স্যার, সবাই ঠিক বলে। আমার বাবার কাছে শুনেছি পৃথিবীর
সব নারীই আমার মা। তাই সবাইকে মায়ের মত দেখি। অধ্য�ক্ষ এই উত্তরের জন্য অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে হনহন করে হাটা দিলেন। বাড়ী গিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরকে কাজলদা ছলছল চোখে বললেন - 'বাবা আমি আর কলেজে যাব না। '"ঠাকুর- কেন বাপাই সোনা ? ওনারা কি তোমার নিন্দা করে ।' তাই বুঝি !"
ঠাকুর বললেন- দেখতো কাজলা কিসের শব্দ হচ্ছে ? একটা গাছে ঠক্ঠক্ আওয়াজ হচ্ছিল। বললেন 'দেখে আয় গিয়া'। কাজলদা দেখে এসে বললেন 'বাবা, একটা কাঠঠোকরা কোটরে বসে গাছের গায়ে ঠোকরাচ্ছে'।
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন- "পরমপিতা যে গাছের কোটরে ওকে আশ্রয় দিয়েছেন সেই গাছেই ও ঠোকরাচ্ছে,।' তাই বলে
গাছ কিন্তু ওকে আশ্রয় দিতে কুন্ঠিত নয়।
কতো ঝড়-বৃষ্টি-দুর্যোগ থেকে ওকে বাঁচিয়ে রাখছে, তাই না কাজলা।"
কাজলদা বুঝতে পারলেন ঠাকুর কি বলতে চাইছেন। একদিন কাজলদা ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন -"বাবা , আমি কে?"
উত্তরে ঠাকুর বললেন- "তোমার নামের মধ্যেই আছে বাপাই সোনা, তুমি কেডা।"
কাজলদা উত্তর দিলেন -স্যার আমার অসংখ্য মা। অধ্য�ক্ষ বিদ্রুপের হাসি হেসে বললেন - তাহলে সবাই যা বলে তা ঠিক।
কাজলদা বললেন - হ্যাঁ স্যার, সবাই ঠিক বলে। আমার বাবার কাছে শুনেছি পৃথিবীর
সব নারীই আমার মা। তাই সবাইকে মায়ের মত দেখি। অধ্য�ক্ষ এই উত্তরের জন্য অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে হনহন করে হাটা দিলেন। বাড়ী গিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরকে কাজলদা ছলছল চোখে বললেন - 'বাবা আমি আর কলেজে যাব না। '"ঠাকুর- কেন বাপাই সোনা ? ওনারা কি তোমার নিন্দা করে ।' তাই বুঝি !"
ঠাকুর বললেন- দেখতো কাজলা কিসের শব্দ হচ্ছে ? একটা গাছে ঠক্ঠক্ আওয়াজ হচ্ছিল। বললেন 'দেখে আয় গিয়া'। কাজলদা দেখে এসে বললেন 'বাবা, একটা কাঠঠোকরা কোটরে বসে গাছের গায়ে ঠোকরাচ্ছে'।
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন- "পরমপিতা যে গাছের কোটরে ওকে আশ্রয় দিয়েছেন সেই গাছেই ও ঠোকরাচ্ছে,।' তাই বলে
গাছ কিন্তু ওকে আশ্রয় দিতে কুন্ঠিত নয়।
কতো ঝড়-বৃষ্টি-দুর্যোগ থেকে ওকে বাঁচিয়ে রাখছে, তাই না কাজলা।"
কাজলদা বুঝতে পারলেন ঠাকুর কি বলতে চাইছেন। একদিন কাজলদা ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন -"বাবা , আমি কে?"
উত্তরে ঠাকুর বললেন- "তোমার নামের মধ্যেই আছে বাপাই সোনা, তুমি কেডা।"
শ্রীশ্রীছোটমা
একদিন বলেছিলেন -"কাজলের অষ্টসিদ্ধি রয়েছে। ও ইচ্ছে করলে মরা মানুষ বাঁচাতে পারে।"
সোদপুরের হাসিদি(ব্যানার্জি) একদিন প্রনাম করছেন, সাথে ছেলে মাধব। কাজলদা বললেন-হাসিদি ,ছেলের পৈতা দেবেন এই সপ্তাহেই, আমি থাকতে থাকতেই। দাদার আদেশে কোনরকমে ছেলের পৈতা দিলেন।
হঠাৎ খবর এল মাধবের দন্ডীঘরে হাসিদিকে সর্পদংশন করায় কল্যানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাজলদা হাসপাতালে ছুটলেন, ডাক্তার কাজলদাকে দেখেই বললেন 'বোধহয় বাঁচানো যাবে না'। কাজলদা ঘর থেকে সকলকে বের করে দিলেন। বেশ কিছু�ক্ষন গন্ডী দিয়ে রাখার পর বেরিয়ে এলেন। দুদিন পর সুস্থ হয়ে হাসিদি দাদাকে প্রনাম করতে এলে দাদা বললেন- "পরমপিতার দয়ায় জীবনটা ফিরে পেলেন। এবার পরমপিতার কাজ করুন গিয়া।"
হঠাৎ খবর এল মাধবের দন্ডীঘরে হাসিদিকে সর্পদংশন করায় কল্যানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাজলদা হাসপাতালে ছুটলেন, ডাক্তার কাজলদাকে দেখেই বললেন 'বোধহয় বাঁচানো যাবে না'। কাজলদা ঘর থেকে সকলকে বের করে দিলেন। বেশ কিছু�ক্ষন গন্ডী দিয়ে রাখার পর বেরিয়ে এলেন। দুদিন পর সুস্থ হয়ে হাসিদি দাদাকে প্রনাম করতে এলে দাদা বললেন- "পরমপিতার দয়ায় জীবনটা ফিরে পেলেন। এবার পরমপিতার কাজ করুন গিয়া।"
পুজ্যপাদ কাজলদা বাকসিদ্ধ পুরুষ। বাগমারী আশ্রমে একজন দাদাকে বললেন- "আমি ইচ্ছা করলে সবখানে যেতে পারি। তোর কাছে গেছিলাম সেদিন। দাদাটি বললেন , কি করে বুঝবো?
সাথে সাথে যে নিখুঁত বর্ননা দিলেন তাতে উক্ত দাদাটির চ�ক্ষু স্থির। রাত্রে কেমন করে আহারের পর ওরা স্বামী-স্ত্রী শয্যাগ্রহন করেছিলেন কি কি কথোপকথন ওদের মধ্যে হয়েছিল তার পূর্ণ বিবরন দিয়ে বললেন - " আমি না ইচ্ছে করলেইই এইই স্থুল দেহ থেকে বেড়িয়ে যেতে পারি।"
দেওঘরে একদিন গল্প করছেন- " একদিন
ইচ্ছে করে দেহ থেকে সু�ক্ষ্ম শরীরে বেরিয়ে অসম্ভব দ্রুতগতিতে ওপরে উঠে যাচ্ছি। কেমন করে বেরোতে হয় জানা ছিল কিন্তু
সু�ক্ষ্ম শরীর থেকে স্থুল শরীরে প্রত্যাবর্তনের
পদ্ধতি জানা না থাকায় পরমপিতার নাম করছি কেবল। হঠাৎ দেখি - বাবাও যেন সু�ক্ষ্ম শরীরে 'বড়াল বাংলো' থেকে বেরিয়ে এসে সৎসঙ্গ নগরের মুখে যে রেল লাইন আছে ওখান থেকে এসে আবার বড়াল বাংলোয় নিজের শরীরে প্রবেশ করছেন। তাই দেখে আমিও একইই ভাবে নিজ দেহে
প্রবেশ কর�লাম।
সাথে সাথে যে নিখুঁত বর্ননা দিলেন তাতে উক্ত দাদাটির চ�ক্ষু স্থির। রাত্রে কেমন করে আহারের পর ওরা স্বামী-স্ত্রী শয্যাগ্রহন করেছিলেন কি কি কথোপকথন ওদের মধ্যে হয়েছিল তার পূর্ণ বিবরন দিয়ে বললেন - " আমি না ইচ্ছে করলেইই এইই স্থুল দেহ থেকে বেড়িয়ে যেতে পারি।"
দেওঘরে একদিন গল্প করছেন- " একদিন
ইচ্ছে করে দেহ থেকে সু�ক্ষ্ম শরীরে বেরিয়ে অসম্ভব দ্রুতগতিতে ওপরে উঠে যাচ্ছি। কেমন করে বেরোতে হয় জানা ছিল কিন্তু
সু�ক্ষ্ম শরীর থেকে স্থুল শরীরে প্রত্যাবর্তনের
পদ্ধতি জানা না থাকায় পরমপিতার নাম করছি কেবল। হঠাৎ দেখি - বাবাও যেন সু�ক্ষ্ম শরীরে 'বড়াল বাংলো' থেকে বেরিয়ে এসে সৎসঙ্গ নগরের মুখে যে রেল লাইন আছে ওখান থেকে এসে আবার বড়াল বাংলোয় নিজের শরীরে প্রবেশ করছেন। তাই দেখে আমিও একইই ভাবে নিজ দেহে
প্রবেশ কর�লাম।
কাজলদা শুয়ে আছেন। নীচে বসে গল্প পড়ে শোনাচ্ছেন আশীষদা। আশীষদার হাতের আঙুলের স্পর্শ তাঁর খাটের সাথে লাগা। রাত প্রায় ১টা । হঠাৎ বললেন আশীষ তোর শরীরের কোন খাটের সাথে লেগেছে? আশীষদা বললেন হ্যাঁ। তিনি বললেন সরিয়ে নে।
পরের দিন সকালে জিজ্ঞেস করাতে বললেন-"বাবাকে যতবার স্মরন করার চেষ্টা করছি ততবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিলাম। তাই ভাবলাম কোন অস্তিত্বের স্পর্শ আমার বিছানায় লাগা আছে।
পরের দিন সকালে জিজ্ঞেস করাতে বললেন-"বাবাকে যতবার স্মরন করার চেষ্টা করছি ততবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিলাম। তাই ভাবলাম কোন অস্তিত্বের স্পর্শ আমার বিছানায় লাগা আছে।
শ্রীশ্রীঠাকুরের
আদরের "বাপাই সোনা",
বর্তমানে মানসিক কষ্ট প্রচন্ড। আমরাও ভাবি -কেন এমন হল ? অল�ক্ষে তাঁর পিতাও কষ্ট পান নিশ্চয়। তাঁর ৫২ বছর বয়সে তিনি তাঁর বাপাই সোনাকে এনে ছিলেন পৃথিবীর বুকে। মাঝে মাঝে পুজ্যপাদ কাজল-দা বলেন "বাবা আমাকে আনলেন কেন? যদি তাঁর কিছু কাজ করে যেতে পারি তবেই শান্তি।"
তাঁর জীবনে সঞ্চয় বলে কিছু নেই, কোন অর্থের প্রতি লিপ্সা নেই। তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত ডাক্তার। তিনি ইচ্ছে করলেই নিজের শি�ক্ষাকে কাজে লাগিয়ে গাড়ি, বাড়ি, প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তাঁর সমস্ত কিছু তাঁর পরমপিতার পদতলে যে সমর্ম্পন করে দিয়েছেন।।
বর্তমানে মানসিক কষ্ট প্রচন্ড। আমরাও ভাবি -কেন এমন হল ? অল�ক্ষে তাঁর পিতাও কষ্ট পান নিশ্চয়। তাঁর ৫২ বছর বয়সে তিনি তাঁর বাপাই সোনাকে এনে ছিলেন পৃথিবীর বুকে। মাঝে মাঝে পুজ্যপাদ কাজল-দা বলেন "বাবা আমাকে আনলেন কেন? যদি তাঁর কিছু কাজ করে যেতে পারি তবেই শান্তি।"
তাঁর জীবনে সঞ্চয় বলে কিছু নেই, কোন অর্থের প্রতি লিপ্সা নেই। তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত ডাক্তার। তিনি ইচ্ছে করলেই নিজের শি�ক্ষাকে কাজে লাগিয়ে গাড়ি, বাড়ি, প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তাঁর সমস্ত কিছু তাঁর পরমপিতার পদতলে যে সমর্ম্পন করে দিয়েছেন।।